ফুলকুমারী/টাইমফুল বা পর্তুলিকা….
দেখতে খুব সুন্দরী এই ফুলকুমারী..
চিকন চিকন পাতায় ঘেরা,
মাঝখানে ছোট্ট ফুলটি ফুটে আছে।
দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। নানান রঙের পাপড়িতে বেষ্টিত এই ফুলকুমারী..!পাপড়িগুলো খুবই পাতলা।এর অনেক নাম..
পর্তুলিকা,টাইমফুল,৯ টার ফুল ইত্যাদি..
অনেকে শখ করে একে পর্তু বলেও ডেকে থাকেন!কেউবা আবার আদর করে ডাকেন পুর্তা..!প্রায় বেশিরভাগ বাগানীরই পছন্দের শীর্ষস্থানটা দখল করে নিয়েছে এই পর্তুলিকা..
তবে এর চাহিদাও কিন্তু কম নয়..
কড়া রোদে রাখলে ফুল ভালো দিবে,ছায়ায় ফুল দিবে না..
বেশি পানি দিলে মরে যাবে..
আবার পানি না দিলেও মরে যাবে!!
আজকে এই পর্তুলিকা সম্পর্কেই বিস্তারিত জানাবো আপনাদের।
যত্ন;??
মাটি তৈরি:মাটি,শুকনা গুবর,অল্প পরিমান বালি,সাথে হালকা জৈবসার মিশিয়ে ঝুরঝুরা করে রাখতে হবে কিছু দিনের জন্য..!
এরপর উপযুক্ত সময়ে অর্থাৎ শীতের শেষে পর্তুলিকা রোপন করতে হবে।
বলে রাখা ভালো, শীতে পর্তুলিকা ফুটে না..
যদিও ফুটে খুব কম..
পর্তুলিকা ফুটার উপযুক্ত সময় হচ্ছে বসন্তকাল!


চারা করার পদ্ধতি :পর্তুলিকার দুই প্রক্রিয়ায় চারা করা যায়!
প্রথম প্রক্রিয়াটি হলো কাটিং থেকে অর্থাৎ ডাল থেকে এর চারা করা যায়..
উপরে বর্নিত পদ্ধতিতে মাটি তৈরি করে এর মধ্যে ডাল লাগিয়ে পানি দিয়ে ২-৩ দিন ছায়ায় রাখতে হবে..
তারপর রোদে রাখতে হবে..
আবারো বলছি,পর্তুলিকা রোদে ভালো ফুল দেয়..!এবার বীজ থেকে কিভাবে চারা করা যায় তা বলছি..
ফুল ফুটার পর ফুলের গোড়ায় কিছু বীজ হয়..
সেইগুলো সংগ্রহ করতে হবে..
যদিও এখন বাজারেও বীজ কিনতে পাওয়া যায়..
উপরে বর্ণিত পদ্ধতিতে মাটি তৈরি করতে হবে..
মাটিটা অবশ্যই পর্যাপ্ত ঝুরঝুরা হতে হবে..
আর মিহি হতে হবে..
মাটি তৈরি হয়ে গেলে এর উপর বীজ ছিটিয়ে দিয়ে পানি স্প্রে করতে হবে..
(এরপর আবার দুটি প্রক্রিয়া আছে)
১:বীজ লাগানো পাত্রটি পলিব্যাগ দিয়ে ঢেকে ছায়ায় রাখা,
২:বীজ লাগানো পাত্রটি এমনিতেই ছায়ায় রাখা..
এতে লাভ হচ্ছে যদি আমরা প্রথম পদ্ধতি অনুসরণ করি তাহলে আমরা খুব তাড়াতাড়ি বীজ থেকে চারা করতে পারবো.
আর ২য় টাতে একটু সময় নিবে..
(তাই ২য় টা থেকে প্রথম পদ্ধতিটাই অনুসরণ করা শ্রেয়!)
কিছুদিন ছায়ায় রাখার পরই দেখা যাবে ছোট ছোট চারা গজিয়েছে..
চারা একটু বড় হলে একে রোদে নিতে হবে!
যত্ন:সবচেয়ে কঠিন কাজটাই হচ্ছে পর্তুলিকার যত্ন নেয়া..
খুব সতর্কতার সাথে এর যত্ন নিতে হয়!
নিয়মিত পানি দিতে হবে তবে বেশি পানি দেয়া যাবে না।অতিরিক্ত পানি দেয়া হলে শিকড় পচে গাছ মারা যাবে।
আবার কম পানিও দেয়া যাবে না!কম পানি দিলে গাছ শুকিয়ে মারা যায়!এমন স্থানে রাখতে হবে যেখানে প্রচুর রোদ লাগে।

***আর আরেকটা ব্যাপার…!!!
৩ স্টার দেয়ার কারন হচ্ছে এই টপিকটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ!!
পর্তুলিকার পরম শত্রু হচ্ছে মিলিবাগ!
মিলিবাগ যদি একবার গাছে আক্রমণ করে, পর্তুলিকার বংশ শেষ না করা পর্যন্ত এরা শান্ত হবে না।
এই মিলিবাগ তাড়ানোর একটাই উপায় আছে..
তা হলো এদের টিপে টিপে হত্যা করা..
আর ডিটার্জেন্ট মিশ্রিত পানি স্প্রে করা!মিলিবাগ রোদে তেমন আক্রমণ করতে পারে না..
ছায়ায়ই এরা বেশি আক্রমন করে থাকে..!
এর পর্যাপ্ত যত্ন নিতে পারলে প্রচুর ফুল পাওয়া যাবে..!
Happy Gardening!!